দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গত দুই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর গত আগস্টে তা আবার বেড়েছে। চলতি বছরের আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। আর সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গ্রাম ও শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছাড়িয়েছে ১২ শতাংশ।
রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির এমন চিত্র দেখা গেছে। বিবিএসের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ হয়েছে, জুলাইয়ে যেটি ছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
এদিকে আগস্ট মাসে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হঠাৎ অনেক বেড়ে গেছে। এ মাসে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জুলাই মাসে যেটি ছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তবে জুলাই মাসে সার্বিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ থাকলেও; আগস্টে সেটি কমে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আগস্টে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
আগস্টে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ হওয়ার মানে হলো, ২০২২ সালে আগস্টে একজন মানুষ যে পণ্য ও সেবা ১০০ টাকায় কিনতেন, চলতি বছরের আগস্টে একই পণ্য কিনতে তার খরচ হয়েছে ১০৯ টাকা ৯২ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খরচ বেড়েছে ৯ টাকা ৯২ পয়সা। মূল্যস্ফীতি হলো একধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর চাপ বাড়ায়।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, আগস্টে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের মাস, অর্থাৎ জুলাইয়ে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর মানে, আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে গ্রাম এলাকায় আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর শহর এলাকায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ১১ শতাংশে। উভয় ক্ষেত্রে খাদ্য মূল্যস্ফীতি জুলাইয়ে ১০ শতাংশের নিচে ছিল।