যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড় হেলেনের আঘাতে প্রাণহানি আরও বেড়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ৬৩ জনের মৃত্যুর তথ্য জানা গেছে।
এ ছাড়া দেশটির দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের ১০ অঙ্গরাজ্যের বহু পরিবার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দাদের উদ্ধারের কাজ চলছে। তবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় রাজ্য ফ্লোরিডা এবং জর্জিয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে দেশটির ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী হারিকেন ‘হেলেন’।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪ ক্যাটাগরির এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি দেশটির উপকূলীয় এলাকায় বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি করেছে। এতে করে ফ্লোরিডা উপকূলের টাম্পা, ন্যাপলস ও সেন্ট পিটার্সবার্গ এলাকায় বহু নৌযান উল্টে আছে। রাস্তার ওপর অনেক গাছ উপড়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় যানবাহন পানিতে আটকা রয়েছে এবং কিছু জায়গায় রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।
মার্কিন ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, হারিকেন হেলেন ২২৫ কিমি বেগে ফ্লোরিডা উপকূলে আছড়ে পড়ে। শুক্রবার প্রথম প্রহরে পাশের রাজ্য জর্জিয়ার দিকে ধেয়ে যাওয়ার সময় এটি দুর্বল হয়ে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হয়। এ ছাড়া বিকেলের দিকে ঝড়টি একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়। তখন এর বাতাসের গতি ছিল ৫৫ কিলোমিটার। তারপর টেনেসি ও কেন্টাকির ওপর দিয়ে এটি ধীরে বয়ে যায়।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, হারিকেন হেলেনের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতে দক্ষিণ অ্যাপালাচিয়ানে বিপর্যয়কর বন্যা তৈরি হয়েছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন কেন্দ্র জানিয়েছিল, স্থানীয় সময় এটি শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ফ্লোরিডায় আঘাত হানতে পারে। শুক্রবার প্রায় ২০ লাখের বেশি ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন ছিল।
ফ্লোরিডায় আঘাত হানার সময় হেলেনের বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার। পরে জর্জিয়ার ওপর দিয়ে উত্তরে অগ্রসর হওয়ার সময় হারিকেনটি দুর্বল হয়ে পড়ে।