প্রায় তিন বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এবার ইতি টানার ইঙ্গিত দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি।ন্যাটোর সুরক্ষা পেলে যুদ্ধবিরতি সম্ভব বলেই ইঙ্গিত দিলেন তিনি।শুক্রবার(২৯নভেম্বর)যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের শীর্ষ প্রতিবেদক স্টুয়ার্ট রামসেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমরা যদি এই যুদ্ধের সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে চাই এবং ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল এখনও আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সেসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই সেক্ষেত্রে আমাদের ন্যাটোর আশ্রয়ে যাওয়া প্রয়োজন।’
ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে রুশ সেনারা। আর এর মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। আর তা মেনে নিয়ে এখন যুদ্ধবিরতির কথা ভাবতে শুরু করেছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পরপরই এক রকম লেখা হয়ে গিয়েছিল ইউক্রেনের যুদ্ধের ফল।এরপরও বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শেষ চেষ্টা স্বরূপ ইউক্রেনকে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন। তাতেও দমে যায়নি রাশিয়া।
এর আগে, ট্রাম্প প্রশাসন জেলেনস্কিকে প্রস্তাবে জানিয়েছে, প্রায় ৩ বছরের যুদ্ধে ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল রুশ বাহিনী দখল করেছে সেসব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ যদি রুশ বাহিনীর হাতে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়া হবে। সেই প্রস্তাবই এখন মেনে নেওয়ার কথা ভাবছে জেলেনস্কি।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা প্রথমে ন্যাটোর ছাতার তলায় যেতে চাই। তারপর ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল বেদখল হয়েছে সেগুলো পুনরুদ্ধারে কূটনৈতিক পন্থায় অগ্রসর হতে চাই। আমার মনে হয় এটা সম্ভব। তবে ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল রাশিয়া দখল করেছে সেগুলোকে আমরা রুশ ভূখণ্ড হিসাবে স্বীকৃতি দিতে পারি না। এটা অসম্ভব এবং ইউক্রেনের সংবিধানবিরোধী।’
এদিকে এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া এবং খেরসন এই চার প্রদেশের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে চার প্রদেশকে রুশ ভূখণ্ড হিসাবে স্বীকৃতিও দিয়েছে মস্কো।অন্যদিকে ন্যাটোর পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেওয়া সম্ভব নয়।