রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার কর্তৃক দেড় কোটি টাকা মূল্যের ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার Logo আ.লীগের করা এনআইডি আইন পর্যালোচনায় বৈঠকে ইসি Logo গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্পের প্রতিনিধি Logo ভারতের মরিচঝাঁপি গণহত‍্যা নিয়ে বাংলাদেশের ওয়েব সিরিজ Logo চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা বিসিবির, বাদ লিটন Logo পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ বাতিলের দাবিতে এনসিটিবি ঘেরাও Logo বরিশালে বাদ হচ্ছে ভুয়া তথ্য দেওয়া ৬০ হাজার টিসিবি কার্ড Logo মেঘনায় দুই স্পিডবোটের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৩ Logo গ্রামীণফোনের ফ্যান্টাস্টিক ফ্রাইডে অফার Logo খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলের অপেক্ষায় চিকিৎসকরা

একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক আবদুল গফুরের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ

তামজীদ হোসেন / ১১৩ Time View
Update : শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:২৩ অপরাহ্ন
একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক আবদুল গফুরের শেষ নিঃশ্বাস
একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক আবদুল গফুরের শেষ নিঃশ্বাস

একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক, বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক অধ্যাপক আবদুল গফুর মারা গেছেন।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার ছেলে সাংবাদিক তারিক আল বান্না বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।


আবদুল গফুর ১৯২৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী সদর উপজেলার (তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা) খানগঞ্জ ইউনিয়নের খোর্দ্দদাদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম হাজী হাবিল উদ্দিন মুন্সী ও মায়ের নাম শুকুরুন্নেসা খাতুন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।


অধ্যাপক আবদুল গফুর ১৯৪৫ সালে স্থানীয় মইজুদ্দিন হাই মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৪৭ সালে কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে স্ট্যান্ড করা ছাত্র আবদুল গফুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়ে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিস পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তুলে। এ সময় এর প্রতিষ্ঠাতা আবুল কাসেমের সঙ্গে অগ্রণী সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলন আবদুল গফুর।
১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর তমদ্দুন মজলিসের বাংলা মুখপত্র সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হলে গফুর প্রথমে এর সহ-সম্পাদক ও পরে সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সৈনিক পত্রিকার বিশেষ সংখ্যার শিরোনাম ছিল ‘শহীদ ছাত্রদের তাজা রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত, মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলে ছাত্র সমাবেশে পুলিশের নির্বিচারে গুলিবর্ষণ’। ফলশ্রুতিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ পত্রিকাটির অফিস অবরোধ করে সম্পাদক আবদুল গফুর ও প্রকাশক আবুল কাসেমকে গ্রেফতার করে।

পরে ১৯৬২ সালে আবদুল গফুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ভাষা আন্দোলন ছাড়াও তিনি পাকিস্তান আন্দোলন ও স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০০৫ সালে একুশে পদক প্রদান করেন।

পেশাজীবনে আব্দুল গফুর ১৯৫৯ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের দারুল উলুমের (ইসলামিক একাডেমি) সুপারিন্টেনডেন্ট হিসেবে কাজ করেন। পরে এক বছর চট্টগ্রামে জেলা যুবকল্যাণ অফিসার হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৩ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ এবং ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত আবুজর গিফারী কলেজে শিক্ষকতা করেন। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রকাশনা পরিচালক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন দৈনিক ইনকিলাবের ফিচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : JEWEL