শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোর কর্তৃক ২০ কেজি গাঁজা ও ফেন্সিডিল উদ্ধার Logo ডিএনসি কক্সবাজার কর্তৃক ১ কেজি আইস ও ৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার Logo ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কাল দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ Logo তীব্র খরা: অঝোরে কেঁদে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেন তারা Logo ঈদের ছুটিতেও রক্ষা পাইনি মাদক চোরাকারবারীরা Logo ডিএনসি দিনাজপুর কর্তৃক বিপুল পরিমান গাঁজা উদ্ধার Logo ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’ শিক্ষক বাবার ক্যাম্পাসের বাসায় Logo চীনের অর্থনীতি কি নিস্তেজ হওয়ার পথে Logo ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির Logo ডিএনসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কর্তৃক বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার

‘হঠাৎ স্কুলে যেতে না পেরে বাচ্চারা ট্রমাটাইজ হয়ে যাচ্ছে’

Reporter Name / ৮৮ Time View
Update : শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪, ৩:৪৫ অপরাহ্ন
‘হঠাৎ স্কুলে যেতে না পেরে বাচ্চারা ট্রমাটাইজ হয়ে যাচ্ছে’
‘হঠাৎ স্কুলে যেতে না পেরে বাচ্চারা ট্রমাটাইজ হয়ে যাচ্ছে’

ভর্তি বাতিল হওয়ার পর ১৬৯ জন ছাত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে, কেউ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। কেউ স্কুল ড্রেস পরে বসে থাকে। এখন সে কোথায় পড়বে? তার স্কুলের ছাড়পত্র মিলবে না। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের মানসিক দিক বিবেচনা করে হলেও বাতিল হওয়া সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে ভিকারুননিসা স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

অভিভাবকরা জানান, তিন মাস স্কুলে যাওয়ার পর হঠাৎ স্কুল বন্ধ হওয়ায় তারা এখন ট্রমাটাইজ (মানসিকভাবে ভেঙে যাচ্ছে)। শিক্ষার্থীরা তাদের মন-মননে তাদের স্কুলকে ধারণ করে নিয়েছে, এখন এই ১৬৯ জন শিক্ষার্থী বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে কোথায় ভর্তি হবে? কি তাদের ভবিষ্যৎ? কোন অপরাধে তাদেরকে তাদের এই বিদ্যালয় ছেড়ে যেতে হবে? অভিভাবক এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে এবং নানারকম বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে পরিতাণ পেতে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান অভিভাবকরা। এর আগে একই দাবিতে বেইলি রোডে ভিকারুননিসার মূল শাখার সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বাতিল শিক্ষার্থীরা বেইলি রোডের মূল শাখা, আজিমপুর,‌ ধানমন্ডি ও বসুন্ধরা শাখার শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হয় এমন এমন অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের রিট করেন একজন অভিভাবক। এরপর তাদের ভর্তি বাতিল করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন অভিভাবকরা।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবক কায়সার হোসাইন বলেন, বয়সসীমার যে কথা এখন বলা হচ্ছে সেটা ভর্তির সময় কেন বলা হয়নি। আমরা সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনলাইন আবেদন করে ভর্তি করিয়েছি। মাউশি অধিদপ্তরের লটারির ফলাফলেও তাদের নাম ছিল। সেই তালিকা থেকেই ভিকারুননিসা স্কুল বাচ্চাদের ভর্তি করানো হয়েছে। তিন মাস পর কেন ভর্তি বাতিল করা হলো?

তিনি জানান, এই বাচ্চারা ভিকারুননিসা ছাড়া রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার ও সাউথ পয়েন্ট স্কুলসহ বিভিন্ন স্কুলের ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল। তখন এই বয়সের বিষয়টি বলা হলে বাচ্চাদের অন্য স্কুলে ভর্তি করাতাম।

অভিভাবক রওশন আরা আফরোজ বলেন, এখন তিন মাস পর হঠাৎ করে ভর্তি বাতিল করায় এই বাচ্চাদের কোথায় ভর্তি করাবো। এরমধ্যে রোজার মাস শুরু হয়েছে। ঈদের পর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা। এছাড়াও বাচ্চাদের ভর্তি বাতিল হওয়ার পর স্কুলে যেতে পারছে না। তারা এক ধরনের ট্রমাটাইজ (মানসিক যন্ত্রণা) হয়ে গেছে। অনেক বাচ্চা অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলে যেতে না পেরে অনেক পড়াশুনা করতে চাচ্ছে না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে আমরা আপনাদের (সাংবাদিকদের) সামনে এসেছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো জন্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : JEWEL