নয় দিনব্যাপী ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের পর দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন ছেড়েছে ইসরায়েলের স্থল বাহিনী। সামরিক বাহিনী আইডিএফ জেনিন ত্যাগ করার পর পরিষ্কার হয়ে উঠছে ভয়াবহ আগ্রাসনের প্রকৃত চিত্র। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এ তথ্য জানায়।
এদিকে, ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, আইডিএফ বাহিনী চলে যাওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করতে তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে।
একজন ৬৫ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি মোয়ায়েদ খলিফা বলেন, এ ধরনের ভয়াবহ হামলার কোন কারণ নেই। জেনিনে তার একটি শরবতের দোকান ছিলো। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইস্পাতের দরজা দিয়ে তৈরি ব্যারেল করে তার দোকানকে ধ্বংস করে দেয়। দোকানের আয়ের ওপর নির্ভর করে তিনটি পরিবারের জীবিকা।
অঞ্চলটিতে আইডিএফ-এর স্মরণকালের সবচেয়ে বড় আগ্রাসনকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযান বলে আখ্যা দেয় তেল আবিব। সামরিক বাহিনীর দাবি, হামাস ও স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর বেশ কয়েকটি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে তারা।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের চলমান অভিযানে প্রাণ গেছে ৩৬ জনের। যার মধ্যে জেনিনে-ই মারা যায় ২১ জন। নেতানিয়াহু প্রশাসনের দাবি, নিহতরা সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য।
তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দাবি, মৃতদের বেশিরভাগই শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক। টানা হামলায় বিধ্বস্ত ৬০ হাজার বাসিন্দার শহরটি। এই অভিযানে আটক-ও করা হয় অনেককে। পাল্টা প্রতিরোধে মৃত্যু হয় এক ইসরায়েলি সেনার।