বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এই সরকার দেশের সম্পদ লুট করতে করতে দেশটাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে তাই এই সরকার পতনের আন্দোলনে আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামি, এ ছাড়া অন্য কোন পথ নেই।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসক সব সময় নির্লজ্জ হয়। এদের লজ্জা শরম বলতে কিছু থাকে না। এরা চোখের উপরে এত মিথ্যা কথা এত লুটপাট করতে পারে যে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় এটা সম্ভব না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টে গতকাল বিএনপি আইনজীবীদের ও সাংবাদিকদের যেভাবে পিটিয়েছে এটা অকল্পনীয় একটা ঘটনা। দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় এভাবে গুন্ডামি হয় এটা ভাবা যায় না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, দেশের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য সম্মানিত ব্যক্তি তিন বারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, রুহুল কবির রিজভী, মীর শরাফত আলী সপু, মুন্নাসহ বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় জেলে। তাদেরকে মুক্তি দিন তা না হলে এদেশের জনগণ জেলের তালা ভেঙ্গে তাদেরকে মুক্ত করবে।
তিনি বলেন, কোর্টের, আইনের, বিচারের কি অবস্থা এটা আমরা সবাই প্রত্যক্ষ করছি। আমরা এখন দেখছি, যে লক্ষে এই দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল, ৩০ লক্ষ শহীদ হয়েছে, লক্ষ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হারিয়েছে সেই দেশে বর্তমানে মানুষ ভোট দিতে পারে না। এই আওয়ামী লীগ মঈন ও ফখরুদ্দিনের কাঁধে ভর করে তথাকথিত কেয়ারটেকার সরকারের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশের অবস্থাটা কি করেছে। এই সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। দেশের সম্মান নষ্ট করেছে। এ সরকার বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের কাছে উপহাসের পাত্র হিসেবে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার এমন কোনো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নাই যার দাম বাড়ায়নি। তারা দেশের সম্পদ লুট করতে করতে দেশটাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। তাই এই সরকার পতনের আন্দোলনে আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামে এ ছাড়া অন্য কোন পথ নাই।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মাহাতাব, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ, মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।