শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo ডিএনসি চট্টগ্রাম মেট্রো, যশোর ও নোয়াখালী কর্তৃক বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার Logo এআই থেকে বাঁচতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে তারকাদের চিঠি Logo ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মাদকের আখড়া বানিয়ে রেখেছে একটা প্রগতিশীল গোষ্ঠী’ Logo জবি শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ Logo মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার কর্তৃক ১৮৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার Logo তাসকিন-রানাদের কোচ হওয়ার পথে যিনি Logo ভীতিকর গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে মোদিকে যুদ্ধ বন্ধে চাপ দেয় যুক্তরাষ্ট্র Logo কবে আঘাত হানাতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, জানাল আবহাওয়া অফিস Logo আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান কী? Logo গরমে যেভাবে নিজেকে সতেজ রাখবেন

সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছাতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ শিক্ষা উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৯১ Time View
Update : বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৫, ৪:০৯ অপরাহ্ন
সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছাতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ শিক্ষা উপদেষ্টার
সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছাতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ শিক্ষা উপদেষ্টার

সব পাঠ্যবই কবে নাগাদ শিক্ষার্থীদের দেওয়া যাবে, তার প্রতিশ্রুতি দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। একইসঙ্গে বছরের প্রথম দিন সব শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যবই পৌঁছাতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।

বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন উদ্বোধন ও মোড়ক উন্মোচন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘‘পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলছেন, ‘১৫ জানুয়ারি’, আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলছেন, ‘৩০ জানুয়ারির মধ্যে সব বই দেওয়া যাবে।’ আমি কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনও কমিটমেন্ট দেবো না। পাঠ্যবই কবে ছাপা শেষ হবে, তা নিয়ে আমি কিছু বলবো না। বই ছাপার প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে কিছু কথা বলবো। আমি মনে করি, পাঠ্যবই ছাপার কাজটা এবার শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের মতো হয়েছে।’’

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘প্রথম সমস্যাটা হলো, আমরা বিদেশে বই ছাপাবো না। তারপর শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা হয়েছে অনিবার্য কারণে, তাতে বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে। যখন কাজ শুরু করা হয়েছিল, সেটা অনেক দেরিতে হয়েছে। অনেকগুলো বই পরিমার্জন করতে হয়েছে।’

পরিমার্জন বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনীতিতে নিরপেক্ষ বলে কিছু থাকে না, দলীয় রাজনীতি নিরপেক্ষ সবকিছু যেন বইয়ে থাকে, সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে।’

বই ছাপার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘শিশুদের কাছে বই যাবে, সেটা ভালো কাগজে ছাপা না হলে তো হয় না। সেজন্য উন্নতমানের ছাপা, উন্নত মানের কাগজ ও মলাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া এনসিটিবিতে আগে যারা কাজ করেছেন, তাদের অনেককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাদের বসানো হয়েছে, তারা অনঅভিজ্ঞ। কিন্তু মুদ্রণ শিল্প সমিতির যে নেতা, তাদের সঙ্গে কীভাবে বোঝাপড়াটা করতে হয়, এটা তাদের অভিজ্ঞতায় নেই। সেটা করতে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমাকেও এর মধ্যে ঢুকতে হয়েছে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘কাগজের মান ঠিক রাখা এবং আমাদের বই ছাপানোর কাজ বাদ দিয়ে যাতে নোই বইয়ের ছাপার কাজ না হয়, সে বিষয় তদারকির জন্য ঢাকার শিক্ষকদের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার  টিমের মাধ্যমে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’

শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বই ছাপানোর কাজে পদে পদে ষড়যন্ত্র ছিল, যা অতিক্রম করা হয়েছে। আজও কোনও কোনও জেলায় ষড়যন্ত্র করে বই আটকিয়ে রাখা হয়েছিল। বই ছাপানোর কাজে অনেক প্রেসের মালিক, কাগজ উৎপাদনকারী সংস্থা বর্তমানের কম মূল্যে কাগজ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। এখনই সব বই ছাত্রছাত্রীদের হাতে পৌঁছাতে না পেরে আমি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এবং তাদের অভিভাবকদের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি। সান্ত্বনা এতটুকুই বইগুলো আগের চেয়ে সুন্দর হবে এবং বছরের মাঝখানে মলাট ছিঁড়ে যাবে না।’

গল্পের একেবারে শেষে না গিয়ে যেমন ষড়যন্ত্রকারীকে বোঝা যায় না, এখানেও তেমন। সেটা সরকারের কেউ হোক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হোক, এনসিটিবির হোক, মজুতদার হোক, সিন্ডিকেট হোক। মানে যে কেউ হতে পারে। তবে এখনই আমি কাউকে দোষারোপ করছি না। এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে আমরা একচেটিয়া ব্যবসা কমিয়ে আনবো। এটা আমাদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় হয়ে থাকবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান রিমি, এনসিটিবির চেয়ারম্যন অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : JEWEL