স্বাধীনতা দিবস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা যে ভয়াবহ লুটপাট কায়েম করেছিল, সেটার ভুক্তভোগী ছিল সাধারণ মানুষ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় এক লন্ডভন্ড অর্থনীতি রেখে গেছে। দায়িত্ব নেয়ার পর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন– ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরেছে, ক্রমান্বয়ে অর্থনীতির অপরাপর সূচকগুলো ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করছে। এ সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি। ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৯.৩২ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, যা ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগামী জুনের মধ্যে এটি ৮ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে আশা করছি।
পলাতক সরকারের আমলে চর দখলের মতো দেশের ব্যাংকগুলো দখল করে নেয়া হয়েছিল জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, আমানতকারীর টাকাকে তারা নিজেদের ব্যক্তিগত টাকায় রূপান্তরিত করে ফেলেছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম কাজ ছিল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আস্থা ফিরিয়ে আনা, আমানতকারীর স্বার্থ রক্ষা করে নিয়ম শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা, হিসাবপত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা স্থাপন করা।
গত সরকারের সময় লুটপাটের মহোৎসবে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক অভিনব পদ্ধতিতে বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে। এর মধ্যে বিদেশে অধ্যয়নরত সন্তানের কাছে টাকা পাঠানোর নামে পাচারের একটা পদ্ধতি সবাইকে হতভম্ব করে দিয়েছে। এক সেমিস্টারের খরচ বাবদ অফিশিয়াল ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। আইন, নিয়ম, নীতির জায়গায় যখন হরিলুট প্রতিষ্ঠিত হয় তখন এমন সবকিছুই সম্ভব। এই অর্থ পাচারকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।