নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দেশব্যাপী অভিযান অব্যাহত। আবারো ডিএনসি নোয়াখালী ও খুলনা কর্তৃক মাদকসহ গ্রেফতার ৩।
জানা যায়, (সোমবার) ১৯ই মে, ২০২৫ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ এর নেতৃত্বে একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন বসুরহাট পৌরসভার ০৩নং করালিয়া গ্রামস্থ বাহার কমপ্লেক্সে আসামীর নিজ দখলীয় বসতঘরে অভিযান পরিচালনা করে মো: নাহিদ হোসেন প্রকাশ নিশাত (২৫)কে ৭০০ (সাতশত) পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ বলেন, মাদক কারবারী মোঃ নাহিদ হোসেন প্রকাশ নিশাত (২৫) কোম্পানিগঞ্জ এলাকা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনসহ পেনাল কোডের বিভিন্ন ধারায় ৭টি মামলা রয়েছে। দুর্ধর্ষ প্রকৃতির আসামি মোঃ নাহিদ হোসেন প্রকাশ নিশাত (২৫) এলাকায় মাদক ব্যবসার মাধ্যমে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। তার থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাচাই করে এলাকার অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান আছে।
এছাড়াও বেগমগঞ্জ থানাধীন কুতুবপুর গ্রামস্থ মো: বিপ্লব এর নিজ দখলীয় বসতঘরে অভিযান পরিচালনা করে ১০২ ( একশত দুই) পিস ইয়াবাসহ মো: বিপ্লব (৩৮)কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ বলেন, এলাকাবাসী জানান যে, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী মোঃ বিপ্লব বেগমগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় খুচরা মাদক ব্যবসা করে আসছে। নিজেই বিভিন্ন স্পটে মাদক সরবরাহের কাজ করতো।
আসামীদের বিরুদ্ধে পরিদর্শক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও উপপরিদর্শক মোঃ আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ ও বেগমগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) অনুযায়ী পৃথক পৃথক নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
এদিকে (সোমবার) ১৯ই মে, ২০২৫ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়, খুলনার উপপরিচালক মো: মিজানুর রহমান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, খুলনার বিজ্ঞ নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ কুমার এর নেতৃত্বে একটি টিম রুপসা থানাধীন এলাইপুর মোড়স্থ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মনিরুল ইসলাম মল্লিক এর নিজ দখলীয় বসতঘরে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ১ (এক) কেজি গাঁজাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। আসামীকে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে বিজ্ঞ নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ কুমার ৮ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। আসামীর বিরুদ্ধে ”ক” সার্কেল উপপরিদর্শক আকবর আলী বাদী হয়ে মোবাইল কোর্টে প্রসিকিউশন দায়ের করেন।