নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)-র দেশব্যাপী মাদকবিরোধী নিয়মিত অভিযান অব্যাহত। আবারো কক্সবাজার, সিলেট গোয়েন্দা ও চট্টগ্রাম মেট্রো (উত্তর) কর্তৃক বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার।
(রবিবার) ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় কক্সবাজার এর সহাকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা এর নেতৃত্বে একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, কক্সবাজার পৌরসভার গোল দিঘির পাড় বৌদ্ধঘোনা রোডে একটি পিকআপ ভ্যান তল্লাশি করে ৫০০ (পাঁচশত) লিটার চোলাই মদসহ আবদুস সালাম(২২)কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। এসময় রেইডিং টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে চোলাইমদের মালিক রবিউল ইসলাম রবি ও গাড়ির ড্রাইভার পালিয়ে যায়। আসামীদের বিরুদ্ধে উপ-পরিদর্শক মোঃ তায়রীফুল ইসলাম বিজয় বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) অনুযায়ী একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন ।
এদিকে (সোমবার) ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়, সিলেট এর সহকারী পরিচালক পলাশ পালের নেতৃত্বে একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, বিশ্বম্ভপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ৫২৬০ (পাঁচ হাজার দুইশত ষাট) পিস ইয়াবাসহ মোঃ নিজাম উদ্দিন (৩০) ও ১০০০ (এক হাজার) পিস ইয়াবাসহ মোঃ জিয়াইর রহমান (৩৫)কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। আসামীদের বিরুদ্ধে সহকারী পরিচালক পলাশ পাল বাদী হয়ে বিশ্বম্ভপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) অনুযায়ী একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন ।
অন্যদিকে (সোমবার) ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম মেট্রো (উত্তর) কার্যালয় এর উপপরিচালক হুমায়ুন কবির খন্দকার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, পরিদর্শক লোকাশীস চাকমা এর নেতৃত্বে একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন আসামী মোঃ ইদ্রিস এর বাসায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪ (চব্বিশ) লিটার মদসহ মো: ইদ্রিস (৪৫)কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। আসামীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) অনুযায়ী একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয় বলে জানা যায়।