পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শিয়া-সুন্নিদের মধ্যে গত কয়েকদিনের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর পর দেশটির প্রতিদ্বন্দ্বী ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) থেকে গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এদিন বন্দুকধারীরা একটি শিয়া কাফেলায় আক্রমণ করলে অন্তত ৪০ জন নিহত হন। এর প্রতিশোধ হিসেবে কুররাম এলাকায় সুন্নি মুসলমানদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায় শিয়া গোষ্ঠী।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত কুররাম জেলায় ভূ-সম্পত্তি বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রায় একদশক ধরে সংঘাতে লিপ্ত রয়েছেন শিয়া ও সুন্নি মুসলমানরা।
এবারের সংঘর্ষের পর, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র এবং মধ্যস্থতার দলের সদস্য মুহাম্মদ আলী সাইফ রোববার (২৪ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে জানান, উভয় পক্ষ সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
তিনি জানান, যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে তারা একে অপরের বন্দি বিনিময় করবে এবং মৃতদেহ ফেরত দেবে।
মধ্যস্থতাকারী দলের অন্যতম সদস্য খাইবার পাখতুনখোয়ার পুলিশ প্রধান আখতার হায়াত গন্ডপুর জানান, শিয়া নেতারা দাবি করেছেন, তাদের কাফেলায় আক্রমণের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে গত মাসে কুররামে ১৬ জন নিহত হয়। যাদের মধ্যে ছিল তিনজন মহিলা এবং দুই শিশু। পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ধর্মীয় সহিংসতায় ৭৯ জন নিহত হয়েছেন। ট্রাইবাল কাউন্সিলের যুদ্ধবিরতির আহ্বানের পর জুলাই এবং সেপ্টেম্বরে সংঘর্ষ শেষ হয়। শুক্রবার, সহিংসতার বিরুদ্ধে করাচি এবং লাহোরে কয়েকশ’ মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।