নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) দেশব্যাপী অভিযান অব্যাহত। আবারো যশোর ও নোয়াখালীতে বিপুল পরিমান ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধার।
যশোরে ৪৫০ পিস ইয়াবাসহ ২জন গ্রেফতার:
জানা যায়, (বৃহস্পতিবার) ১০ই এপ্রিল ২০২৫ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, যশোরের উপপরিচালক মোঃ আসলাম হোসেন এর নেতৃত্বে, একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, যশোর জেলার চৌগাছা থানাধীন সিংহঝুলি ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের জগন্নাথপুর পূর্বপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে মোঃ আসাদুল ইসলাম (৩৮), পিতাঃ মৃত ইমান আলীকে ২০০ (দুইশত) পিস ইয়াবা এবং মোঃ আলমগীর হোসেন টুকু (৪৬), পিতাঃ মৃত ছানার উদ্দিনকে ২৫০ (দুইশত পঞ্চাশ) পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ অর্থ ৪৭,০০০ (সাতচল্লিশ হাজার) টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। আসামীদের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক এস এম শাহীন পারভেজ ও উপপরিদর্শক মোঃ সাইদুর রহমান বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) অনুযায়ী পৃথক পৃথক দুটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন ।
এদিকে নোয়াখালীতে ১৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার:
(বুধবার) ৯ই এপ্রিল, ২০২৫ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, পরিদর্শক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে, একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, বেগমগঞ্জ মডেল থানাধীন চৌমুহনী চৌরাস্তাস্থ নোয়াখালী-কুমিল্লা মহা সড়কের পশ্চিম পাশে কনকয়ার রেস্টুরেন্ট এন্ড ক্যাফে নামীয় হোটেলের সামনে ফুটপাথের উপর এবং বেগমগঞ্জ মডেল থানাধীন চৌমুহনী পৌরসভাস্থ উত্তর হাজীপুর গাইন বাড়ীর বাসিন্দা মো: মোশারফ হোসেন প্রকাশ তারেক এর নিজ দখলীয় বসতঘরে অভিযান পরিচালনা করে ১৩ (তেরো) কেজি গাঁজা ও ২টি মোবাইল ফোনসহ মো: রবিন (২১) ও মো: মোশারফ হোসেন প্রকাশ তারেক (৩০)কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। অপর আসামী মো: মাসুদ (৩৫) পলাতক রয়েছে।
সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ বলেন, এলাকাবাসীর সূত্রে ও আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী মো: মোশারফ হোসেন প্রকাশ তারেক ও মো: রবিন দীর্ঘদিন যাবৎ পাইকারী ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। কুমিল্লার পলাতক আসামী মোঃ মাসুদ থেকে তারা এই গাঁজা সংগ্রহ করে এবং মাসুদ নিজেই তাদের কাছে গাঁজা গুলো দিয়ে যায়। এভাবেই তারা দীর্ঘদিন এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
আসামীদের বিরুদ্ধে পরিদর্শক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) অনুযায়ী নিয়মিত মামলা দায়ের করেন বলে জানা যায়।