নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ কর্তৃক ইয়াবাসহ ২ মাদককারবারী গ্রেফতার।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক একেএম শওকত ইসলাম এর দিক নির্দেশনায়, ঢাকা মেট্রোঃ (দক্ষিণ) কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ মামুন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, কোতয়ালী সার্কেলের পরিদর্শক মোঃ শাহজালাল ভূঁইয়া এর নেতৃত্বে একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, ৩রা অক্টোবর বিকাল থেকে ৪ঠা অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত রাজধানীর ওয়ারী ও ডেমরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৫০ পিস ইয়াবা বিক্রির সময় বংশাল ও ওয়ারী এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারী মোঃ তানজিল (৩২)কে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। পরে আসামীর দেয়া তথ্য ও উক্ত ইয়াবার উৎস সন্ধানকালে কক্সবাজারের টেকনাফ-কেন্দ্রিক মাদক ব্যবসায়ীদের একটি নতুন চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। ক্রেতা সেজে ডেমরার বামৈল এলাকায় পৌঁছে চক্রের এক নারী সদস্য কলিমা আক্তার ওরফে রোজি (৩০)কে আটক করা হয়। পরে তার ভাড়াকৃত বসতঘর বিধিমোতাবেক তল্লাশি করে ওয়ারড্রবের ড্রয়ার থেকে ২০,০০০ (বিশ হাজার) পিস ইয়াবাসহ তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত কলিমা আক্তার ওরফে রোজি (৩০)কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পূর্বে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা ও আইস ঢাকার মাদক কারবারীদের কাছে বাহক মারফত পৌঁছে দেয়া হতো। সাম্প্রতিককালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান ও চেকপোস্টসমূহের কারণে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও আইস জব্দ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে কক্সবাজারের মাদক কারবারীরা কৌশলে বিভিন্ন পরিমাণে ইয়াবা এনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, ডেমরাসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া সেজে অবস্থান নেয়। ঢাকায় চিকিৎসা, হকারি ব্যবসাসহ নানা কারণ দেখিয়ে তারা ঢাকায় অবস্থান করে এবং নিয়মিত ভিত্তিতে অবস্থান পরিবর্তন করে। রাজধানীর মাদক কারবারীরা কক্সবাজারের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে টাকা পৌঁছে দিলে, তারা এসকল কারবারীদের মাধ্যমে রাজধানীর ব্যবসায়ীদের কাছে ইয়াবা পৌঁছে দিতো। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে। আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) অনুযায়ী নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয় বলে জানা যায়।