নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রোঃ (দক্ষিণ) কর্তৃক মাদক আইসের হোম ডেলিভারি চক্রের মূল হোতা গ্রেফতার।
(রবিবার) ১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রোঃ (দক্ষিণ) এর উপপরিচালক মানজুরুল ইসলাম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ এর দিক নিদের্শনায়, ডেমরা সার্কেলের পরিদর্শক মোঃ খাইরুল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম ঢাকার ওয়ারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদকের হোম ডেলিভারি চক্রের অন্যতম হোতা আইসের গডফাদার চন্দন রায় (২৯)-কে ২০ (বিশ) গ্রাম আইসসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। উপপরিচালক মানজুরুল ইসলাম বলেন, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৪ পরিদর্শক মোঃ খাইরুল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম শেরেবাংলা নগর থানাধীন শ্যামলীস্থ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের গেটের সামনে থেকে ০৭ (সাত) গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ রিফাত রহমান রোদেলা (২৭)-কে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্য যাচাই ও বিশ্লেষণ করে ঢাকায় মাদকের হোম ডেলিভারি চক্রের অন্যতম মূল হোতা আইসের গডফাদার চন্দন রায় (২৯) এর অবস্থান শনাক্ত করে। পরে ওয়ারী এলাকার চন্দ্রচরণ বুশ স্ট্রিট রোডের ভাড়া বাসা থেকে ২০ (বিশ) গ্রাম আইসসহ চন্দন রায় (২৯)-কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। জানা যায়, এর আগে সে ডিগ্রি পাস করে বিমানবন্দরের লাগেজ পার্টির সদস্য হয়ে বিদেশ থেকে স্বর্ণ ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী পাচারের কাজে জড়িয়ে পরে। করোনাকালীন সময়ে কয়েকজন মালয়েশিয়া প্রবাসী এবং বন্ধুবান্ধব মিলে আইস (ক্রিস্টাল মেথ) মাদক পাচার চক্র গড়ে তোলে। বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে কৌশলে মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশ থেকে সিলিকা জেলের আড়ালে আইস (ক্রিস্টাল মেথ) বাংলাদেশে নিয়ে আসতো চক্রটি। আর দেশের আলট্রা রিচ তথা অভিজাত শ্রেণির ক্রেতার কাছে ‘পার্সেল হোম সার্ভিস’ সিস্টেমে সরবরাহ করতো। এর আগে মালয়েশিয়া থেকে সোনা ব্যবসার আড়ালে আইস পাচারকালে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রমনা বিভাগের হাতে ৬০০ গ্রাম আইস ও তার পাঁচজন সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জামিনে বের হয়ে আবারও এই কাজে সক্রিয় হয়। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) এর ঢাকা মেট্রোঃ (দক্ষিণ) কার্যালয় ৫০০ গ্রাম আইসসহ গত ০২ নভেম্বর ২০২২ তারিখ পুনরায় গ্রেপ্তার করে। মাস ছয়েক জেল খেটে জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে চন্দন রায় (২৯) আত্মগোপনে চলে যায় এবং রাজধানীর আইস (ক্রিস্টাল মেথ) এর চক্রটি সক্রিয় করে। প্রাথমিক তথ্যমতে, ঢাকায় চন্দন রায় (২৯) এর চক্রের অন্তত শতাধিক ক্রেতা রয়েছে, যারা নিয়মিত আইস সেবনের সঙ্গে জড়িত। ওয়ারী এলাকায় থাকলেও মূলত গুলশান-বনানী এলাকার বিত্তশালী পরিবারের সদস্যের কাছে বিভিন্ন সময় চন্দন রায় আইস পৌঁছে দিতো। প্রতি গ্রাম আইস ৫-১০ হাজার টাকায় বিক্রি করতো চন্দন।