সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর জামিন আবেদন ঘিরে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়ে অন্তত ২০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আদালতে হাজির করার পর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
মি. দাসকে গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত। গ্রেফতারের প্রতিবাদে কলকাতাতেও বিক্ষোভ হয়েছে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আটকের বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন)। তিনি ‘বাংলাদেশে ইসকনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা’ উল্লেখ করে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
যদিও আটই নভেম্বর একটি সংবাদ সম্মেলনে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ইসকনের যাবতীয় কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়ার তথ্য জানিয়েছিল সংগঠনটি।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সোমবার ঢাকা থেকে গ্রেফতারের পর চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর আদালতে তার জামিনের শুনানির সময় নির্ধারিত ছিল।
সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গনে শত শত হিন্দু ধর্মাবলম্বী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে শুরু করে। পাশাপাশি আদালত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।
তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর আদালত চত্বরেই মি. দাসকে বহনকারী প্রিজন ভ্যানটি ঘিরে ধরে বিক্ষুব্ধরা।
এক পর্যায়ে প্রিজন ভ্যান থেকেই মি. দাস পুলিশের সরবরাহ করা হ্যান্ডমাইকে অনুসারীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার আহ্বান জানান।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে মি. দাসকে বলতে দেখা যায়, “ রাষ্ট্র অস্থিতিশীল হয় এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নষ্ট হয় আমরা এইরকম কিছু করবো না। আবেগকে সংযত করে, আবেগকে শক্তিতে পরিণত করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবেন”।
কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর পর্যন্ত মি. দাসের বিক্ষুব্ধ অনুসারীরা ওই স্থান ত্যাগ করে নি।