গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) আইন-২০১৮-এর ৩০ ও ৩১ ধারা মেনে চলার গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জিএমপি কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ আদেশ জারি করেন।
বুধবার ভোররাতে গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও সাদপন্থিদের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন।
গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বুধবার দুপুর ২টা থেকে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্যে দুই বা ততধিক ব্যক্তি একত্রে ঘোরাফেরা, জমায়েত এবং কোনও মিছিল, সমাবেশ করতে পারবে না। কোনও প্রকার অস্ত্রশস্ত্র, ছুরি, লাঠি, বিস্ফোরক দ্রব্য বা এ জাতীয় কোনও পদার্থ বহন করা যাবে না। কোনও প্রকার লাউডস্পিকার বা এ জাতীয় কোনও যন্ত্র দ্বারা উচ্চস্বরে শব্দ করা যাবে না । আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জিএমপি।
জিএমপির উপকমিশনার (ডিসি-টঙ্গী জোন) এন এম নাসিরুদ্দিন বলেন, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তা ছাড়া উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টঙ্গীতে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিব ইস্কান্দার বলেন, ‘সংঘর্ষে নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দু এলাকার বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০)। সংঘর্ষে আহতরা টঙ্গী ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
সোর্স : বাংলা ট্রিবিউন