সাম্প্রতিক সময়ে যেন বিনোদন দুনিয়ার সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছে ভিডিওভিত্তিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। দৈনন্দিন জীবনের খুঁটিনাটি সবই মিলছে ইউটিউবে। ফলে ক্রমশ লাফিয়ে বাড়ছে ইউটিউবের দর্শক সংখ্যা। তবে, শুধু দর্শক হিসেবেই নয়, এখন অনেকেই ইউটিউবকে উপার্জনের মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করছেন। এখন নির্মাতারা ইউটিউবের নীতিমালা বর্হিভূত কোনো ভিডিও আপলোড করার পর তা যদি ইউটিউব থেকে স্ট্রাইক পায় তাহলে নিয়ম অনুযায়ী ভিডিও না সরিয়ে আপলোডকৃত অবস্থায় সম্পাদনা করতে পারবেন।
ইউটিউবের নীতিমালা অনুযায়ী ভিডিও প্রকাশ না করলে ভিডিও নির্মাতাদের স্ট্রাইক দিয়ে থাকে ইউটিউব। এসব স্ট্রাইকের কারণে পেইড নির্মাতাদের মনিটাইজেশন সুবিধা বাতিল হতে পারে। এছাড়াও ৩ মাসের মাঝে অন্তত ৩ বার স্ট্রাইক রিপোর্ট পেলে ইউটিউব স্বয়ংক্রিয়ভাবে চ্যানেল মুছে দেয়। তবে নির্মাতারা ভিডিওটি নিরীক্ষণ করার জন্য ইউটিউবের নিকট আপিল করতে পারেন। তবে সেই ভিডিওটি পরবর্তীতে পুনরায় নতুন করে আপলোড করতে হয়। তবে এবার ইউটিউবের এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে নির্মাতারা আপলোডকৃত ভিডিও সম্পাদনা করতে পারবেন। এতে ভিডিওর ভিউ কমবে না।
ইউটিউবের সার্পোট টিমের মতে, “এ সুবিধা চালু হলে বয়সসীমা ও নীতিমালা লঙ্ঘনের বিষয়ে অভিযুক্ত ভিডিওগুলো ইউটিউব স্টুডিওর মাধ্যমে সরাসরি সম্পাদনা করা যাবে। শুধু তা–ই নয়, সম্পাদনা করা ভিডিওর দৃশ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্যালোচনা করা হবে। ইউটিউবের অ্যাডভান্সড সুবিধা ব্যবহারকারী ভিডিও নির্মাতারা এ সুযোগ পাবেন।”
সাধারণত কোনো ভিডিও চুরি করা থাকলে বা মেধাস্বত্ব নীতিমালা লঙ্ঘন করলে ইউটিউব স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্মাতাকে স্ট্রাইক করে থাকেন।
সূত্র: টেকক্রাঞ্ঝ