বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রদলের সাবেক নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম তারিক। ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকালে ‘স্বপ্নদ্রষ্টা : বাংলাদেশের পথের দিশারী এক মহানায়ক জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক একটি তথ্যবহুল সংকলিত বুকলেট প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর এই বুকলেটের পাঁচ শতাধিক কপি বিতরণ করেছেন ছাত্রদল নেতা তারিক।
তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মুসল্লিদের মাঝে, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থীদের মাঝে, হাকিম চত্বর, কলা ভবন, মল চত্ত্বর, বাণিজ্য অনুষদসহ বিভিন্ন হলের সামনে শিক্ষার্থীদের মাঝে এই বুকলেট বিতরণ করা হয়েছে। এই বুকলেটের মুখবন্ধ লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী।
ভিন্নধর্মী এই কর্মসূচি আয়োজন প্রসঙ্গে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারিক বলেন, পথশিশুদের মাঝে একদিন শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করতে গিয়ে হঠাৎ মনে পড়ল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের জন্য এক ভরসার স্থল। তখন থেকেই চিন্তা ছিল দূরদর্শী এই স্বপ্নদ্রষ্টাকে নিয়ে লেখা একটা বুকলেট যদি গণমানুষের হাতে তুলে দিতে পারতাম তাহলে মন্দ হতো না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম ভিত্তিমূল যার দূরদর্শী চিন্তাধারার উপর দাঁড়িয়ে আছে তাকে জনমানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
তারিক জানান, জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে, সর্বজন শ্রদ্ধেয় মরহুম রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ স্যারের লেখায় বারবার উঠে এসেছেন তিনি। বিগত ফ্যাসিবাদ আমলে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আলোচনা, গবেষণা বন্ধ করে রেখেছিল শেখ হাসিনা সরকার। জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিল, রাষ্ট্রীয় মদদে তার স্মৃতি অবদমিত করে রাখার এমন কোন অপচেষ্টা নাই যা করা হয় নাই। আমি আশা করি, এই বুকলেটের মাধ্যমে জেনারেশন জেড ও গণমানুষের কাছে সংক্ষিপ্ত আকারে শহীদ জিয়াকে পরিচয় করিয়ে দিতে পারব।
বুকলেট বিতরণের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, আবুল কাসেম প্রধান, রকিবুল হাসান, জুল হোসেন, সদস্য সাব্বির আহম্মেদ, কর্মী শাহ আলম, তানভীর হোসেন, রিয়া বিশ্বাস ও নাজমুস সাকিব, সূর্যসেন হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিনহাজ উদ্দিন ও তরিকুল ইসলাম তারেক, কর্মী তারিফউল্লাহ ও আরেফিন সুলতান, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের সদস্য মো. আয়াজুর রহমান, সামি মাহমুদ সাদাফ, মাহমুদুল হাসান ও সাফওয়ান সাব্বির, শেখ মুজিবুর রহমান হলের সদস্য সিয়াম রহমান, তাহমিদ হুমায়ুন তানিম, কর্মী যাররাফ রহমান রাশহা, কবি জসিম উদ্দিন হলের সদস্য মাহফুজ ইকবাল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের সদস্য সাখাওয়াত আনসারী সৈকত, ফজলুল হক মুসলিম হলের সদস্য হামিম তাশরিফ আবির ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিব মেহেদি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য নূর হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের ফজলে রাব্বি রাদ, মুজতবা তাহমিদ মুবিন, মো. নাজমুল হক, মো. তানভিরুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণের মো. জুবায়ের হোসেন ও মো. ফাহাদ হোসেন, মহানগর পূর্বের মো. জাহিদ হাসান, মো. সোয়াইবুল ইসলাম রেম্পি, মুন্তাসির হাসনাত, মহানগর পশ্চিমের মো. মাহমুদুল হাসান, তেঁজগাও কলেজের রিমন রায়হান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাকিব হোসেন সৌরভ, আরাফাত হোসেন, ওসমান গণি, জামান মোল্ল্যা, শফিকুল ইসলাম বাবু, রুমান বেপারী ও তোফায়েল মুন্সি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।