দ্বিতীয় দফা ভোটের লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী। তাদের মধ্যে রয়েছেন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, অ্যানি রাজা, শশী থারুর, নবনীত রানা, ওম বিড়লা, হেমা মালিনী, অরুণ গোভিল এবং প্রহ্লাদ জোশীর মতো প্রবীণ প্রার্থীরা।
আগামীকালের ভোটে গোটা দেশের নজর থাকবে কেরালার ওয়ানড়ে কেন্দ্রের দিকে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লড়ছেন সেখানে। এর আগেরবার এ আসন থেকে প্রায় পৌনে তিন লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন রাহুল।
অন্যদিকে, স্বাধীনতার পর থেকে কেরালা রাজ্য বিধানসভায় ক্ষমতায় বসতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। গেলো লোকসভা নির্বাচনে ২০ আসনের রাজ্যটিতে বিজেপি কোন আসন পায়নি। একইভাবে ২০২১ সালের রাজ্যটির বিধানসভা ভোটেও বিজেপির ঝুলিতে যায়নি ১৪০ আসনের একটিও। পৌরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েতেও গেরুয়া শিবিরের উপস্থিতি টিমটিম করে জ্বলা বাতির মতোই।
লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনে অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যগুলো হলো: অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, বিহার, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, রাজস্থান, সিকিম, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ; আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল – আন্দামান ও নিকোবর, লাক্ষাদ্বীপ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পুদুচেরি।
দেশটির নির্বাচন কমিশনের মতে, প্রথম দফা নির্বাচনে সব রাজ্যে গড়ে প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে।
ভারতের লোকসভা নির্বাচন ভোটগ্রহণ হচ্ছে সাত দফায়। গত ১৯ এপ্রিল নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট হয়।এরপর আগামীকাল ২৬ এপ্রিলের পর আছে ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে ও সবশেষ ১ জুন ভোটগ্রহণ হবে। আর ভোট গণণা হবে আগামী ৪ জুন। এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯৭ কোটি; যার মধ্যে তরুণই ২১ কোটি।