রোববার (২৫ জুন) গণবভনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মি. জিন পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স ও মিস ক্যাথরিন পোলার্ড।
এরপর ঢাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের মন্ত্রিপর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শুরু হয়েছে। সকালে সাড়ে ৮টায় রাজধানীর একটি হোটেলে ওমেন ইন পিসকিপিং শিরোনামে দুদিনব্যাপী এ বৈঠক শুরু হয়। এতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের আন্ডার সেক্রেটারি, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ আমন্ত্রিতরা বক্তব্য দেন। শান্তিরক্ষী মিশনে নারী সদস্যের অংশগ্রহণ বাড়াতে কাজ করছে জাতিসংঘ বলে জানিয়েছেন বক্তারা।
তারা বলেন, জাতিসংঘ মিশনের নারী সদস্যরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন তা কমিয়ে আনতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার তাগিদ দেন। চলতি বৈঠকের যৌথ আয়োজক বাংলাদেশ, কানাডা ও উরুগুয়ে।
তারা বলেন, জাতিসংঘ মিশনের নারী সদস্যরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন তা কমিয়ে আনতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার তাগিদ দেন। চলতি বৈঠকের যৌথ আয়োজক বাংলাদেশ, কানাডা ও উরুগুয়ে।
এ বছরের ৫ ও ৬ ডিসেম্বর ঘানার রাজধানী আক্রায় হবে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠক বসতে যাচ্ছে। তার আগে চারটি বিষয়ভিত্তিক ধারাবাহিক সম্মেলনের প্রথমটি বসল ঢাকায়।
গত শুক্রবার মহাসচিবের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক জানান, ‘২০২৩ সালের ৫ ও ৬ ডিসেম্বর তারিখে ঘানার আক্রায় অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকের আগে যে চারটি বিষয়ভিত্তিক ধারাবাহিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে- এটি তার প্রথমটি।’ বাংলাদেশ, কানাডা ও উরুগুয়েসহ-আয়োজক হওয়া প্রস্তুতিমূলক সম্মেলনটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় নারী’।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে ল্যাক্রোইক্স এ বৈঠকে অংশ নেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
তিনি শান্তিরক্ষা মন্ত্রিপর্যায়ের কাঠামোসহ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দেশগুলোর চলমান সমর্থন নিয়ে আলোচনা করবেন। দু’দিনের বৈঠকটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় নারীদের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ ও জেন্ডার-সচেতন নেতৃত্বকে উৎসাহিত করতে অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও ভালো অনুশীলন নিয়ে আলোচনা করতে সেনা ও পুলিশ প্রেরণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধি ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের স্বাগত জানাবে।
জাতিসংঘের মতে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মন্ত্রিপর্যায়ের এই বৈঠক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের কার্যকারিতা এবং তারা যে সম্প্রদায়গুলোতে (দেশে) তাদের সেবা দিচ্ছে- তার প্রভাবকে জোরদার করার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একত্রিত হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। ২০২৩ সালে ৫-৬ ডিসেম্বর ঘানার আক্রায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
অ্যাকশন ফর পিসকিপিং (এ৪পি+) এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে চলমান পর্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ক্রিয়াকলাপের উন্নতির জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থার ওপর আলোচনা করা হবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদানকারী দেশগুলোর অন্যতম।