ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বুধবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর রাত পর্যন্ত হামলায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় একটি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, যেখানে বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিচ্ছিল। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এই খবর জানিয়েছেন।
জেরুজালেমের বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে বুধবার গভীর রাতে সন্দেহভাজন ফিলিস্তিনিদের হামলায় একটি ইসরায়েলি বাসে আগুন ধরে গেছে। সামরিক ও হাসপাতালের কর্মকর্তাদের মতে, এতে একটি ১০ বছর বয়সী ছেলে শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছে। এই আক্রমণটি অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রধান ইসরায়েলি বসতিগুলোর কাছে একটি হাইওয়েতে হয়েছিল। বেথলেহেমের আশেপাশের অঞ্চলে বন্দুকধারীদের সন্ধানে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী।
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ’র সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে ইসরায়েল। এদিকে, সিরীয় বিদ্রোহীরা দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদকে উৎখাত করলেও গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের শেষ হবে এমন কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বর্তমান ও আগত মার্কিন প্রশাসন উভয়ই বলেছে, তারা জানুয়ারিতে নিবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের আগে গাজায় যুদ্ধ শেষ করার আশা করছে। তবে যুদ্ধবিরতি আলোচনা বরাবরই স্থবির হয়ে পড়েছে।
বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ গাজায় অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতির অনুমোদন দিয়েছে। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার অনুমোদন দিয়েছে, যেটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ইসরায়েল। সাধারণ পরিষদের রেজোল্যুশন আইনত বাধ্যতামূলক নয়, যদিও সেগুলো বিশ্ব মতামতকে প্রতিফলিত করে।
১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে ১৫৮ ভোটে এই প্রস্তাব পাস হয়। ভোটের সময় ১৩ সদস্য অনুপস্থিত ছিল। আর ইসরায়েল ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।