ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে কুমিল্লা-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিরবিচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটি সৃষ্টির মহা-পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কুমিল্লা-নোয়াখালী-সোনাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের সাড়ে ২৭ কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণে ২০১৭ সালে কাজ শুরু করে সরকার। এই সড়ক নির্মাণে ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিলো। ইতিমধ্যে ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
চার লেনের নির্মাণকাজ হলে জেলার আর্থসামাজিক উন্নয়নে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ্য করে স্থানীয় সংসদ সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, নোয়াখালীবাসীর কাঙ্খিত সড়ক ছিল এটি। এর ফলে রাজধানীর সঙ্গে এ জেলার মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ কমবে। কমবে সড়ক দুর্ঘটনা। নতুন করে সৃষ্টি হবে শিল্পকারখানা। এজন্য স্থানীয়রা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নোয়াখালীর সন্তান সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
এদিকে চার লেন সড়ক সুবর্ণচর হয়ে চেয়ারম্যান ঘাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত হলে গ্রামীণ অর্থনীতি আরও বিকশিত হবে বলে জানান এমপি করিম চৌধুরী।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, কাজ শেষে সড়কটি চালু হলে কমে সময়ে রাজধানীতে যাতায়াত করতে পারবে এ জেলার মানুষ। সেই সাথে এ অঞ্চলের ৬০ লাখ অধিবাসীর বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া নোয়াখালীর পর্যটনের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটকরা এ সড়ক দিয়ে সহজে নিঝুম দ্বীপ, হাতিয়া বজরা শাহী মসজিদ ও গান্ধী আশ্রমে যেতে পারবে।
নোয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাকিরুল ইসলাম বলেন, নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের যোগাযোগের বিড়ম্বনা সেটির পরিসমাপ্তি ঘটবে। আগামী এক মাসের মধ্যে সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, সাড়ে ২৭ কিলোমিটার চার লেন প্রকল্পে ৮৬.৪১ মিটারের দৈর্ঘ্যের দুইটি সেতু, ১৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের ২৮টি কালভাট, থাকবে ১০টি ফুটওভার ব্রিজ এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা।