আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের পর এবার বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০০ টাকা বেড়েছে এই পণ্যটির দাম। এক সপ্তাহ আগেও যেখানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ মিলছিল ১৬০ টাকায়, শুক্রবার তা কিনতে হচ্ছে ২৬০ টাকায়। বিক্রেতাদের দাবি, ফলন কম হওয়ায় পণ্যটির দাম বেড়েছে । এর আগে, গত জুনের মাঝামাঝি সময়ে কাঁচা মরিচে বাজার অস্থীতিশীল হয়ে ওঠে। দেশের কোনো কোনো স্থানে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয়েছে হাজার টাকার বেশি দামে। এর পর মরিচ আমদানি করে বাজার স্বাভাবিক করা হয়।
এদিকে, দুই সপ্তাহ পরও সরকারি দেওয়া দামে বাজারে মিলছে না আলু ও পেঁয়াজ। তবে ডিম মিলছে ১৪৫ টাকা ডজনে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে হিমশিম অবস্থার মধ্যে গত ১৪ সেপ্টেম্বর চারটি পণ্যের দাম বেঁধে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম নির্ধারণ করা হয় ৩৫ টাকা। আর প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, ডিম প্রতি পিস ১২ টাকা আর প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ঘোষণা করা হয় ১৬৯ টাকা। সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকরে সারা দেশের বিভিন্ন বাজারে লাগাতার ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান চলছে। অতিরিক্ত দামে আলু বিক্রি করায় কোল্ড স্টোরেজ মালিকসহ বহু ব্যবসায়ীকে করা হচ্ছে জরিমানা। তারপরও বাজারে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি।
শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেঁধে দেওয়া দাম ৩৫ টাকা হলেও আলু কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। দেশি পেঁয়াজ অন্তত ৮৫ আর আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকার ওপরে। আর কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৬০ টাকায়। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের এক সবজি বিক্রেতারা বলেন, ‘এ বছর ফলন কম। এই সিজন থেকে ওই সিজনে তো নিয়ে যেতে হবে। এজন্য যেটুকু আছে স্টকে তার রেট বাড়িয়ে দিয়েছে।’ তবে ফার্মের মুরগির ডিমে রয়েছে খানিকটা স্বস্তি। এক ডজনের জন্য গুনতে হচ্ছে ১৪৫ টাকা। আর এ অবস্থা এক সপ্তাহ ধরেই।
এদিকে পাইকারি বাজারের পাশাপাশি সুপার শপেও অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। তবে এর ফল ছিল শূন্য। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, ‘মহাপরিচালকের সার্বিক তত্ত্বাবধানেই মূলত এই কাজটি করা সম্ভব হয়েছে। আমরা আশা করছি, ডিম ও পেঁয়াজের ক্ষেত্রে যেমন একটু ব্যতয় দেখা যাচ্ছে সেটিও আমরা রিকভার করার সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’ বাজার তদারকিতে রাজধানীতে ৩টি দলে ভাগ হয়ে কাজ করছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।