বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo ডিএনসি’র নিয়মিত অভিযানে আবারো যশোর কর্তৃক বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার Logo ডিএনসি টেকনাফ বিশেষ জোন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নোয়াখালী কর্তৃক বিপুল পরিমান মাদক ইয়াবা, ফেন্সিডিল ও গাঁজা উদ্ধার Logo চশমা ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন না করলে হতে পারে বিপদ: ড. মোঃ মিজানুর রহমান Logo মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার কর্তৃক ৪০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার Logo ডিএনসি টেকনাফ বিশেষ জোনের অভিযানে ফেন্সিডিল উদ্ধার Logo ঢাকায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ Logo কোরবানির মর্মবাণী: শুধু গোশত না খেয়ে সবার হক আদায় করি Logo মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নরসিংদী কর্তৃক ৬ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ১ Logo মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নরসিংদী কর্তৃক বিপুল পরিমান ইয়াবা উদ্ধার Logo ডিএনসি দেশব্যাপী অভিযানে ফেনী, কক্সবাজার, কুমিল্লা, নরসিংদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গাইবান্ধায় বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার

আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল

Reporter Name / ১০৯ Time View
Update : সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল
আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল

আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এদিনে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস তছনছ করে দিয়েছিল দেশের উপকূলীয় জনপদ। সেদিন ২৫০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত এবং ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস তছনছ করে দিয়েছিল উপকূলীয় জনপদ। ওই ঘটনায় দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত হয়। ১ কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারায়।

সেদিনের ভয়াল এই ঘটনা এখনও দুঃস্বপ্নের মতো তাড়িয়ে বেড়ায় চট্টগ্রামের উপকূলবাসীকে। দুঃসহ সে স্মৃতি আজও কাঁদায় স্বজনহারা মানুষগুলোকে।

ওই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছিল ফসলের ক্ষেত, লাখ-লাখ গবাদি পশু। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ ছিল দেড় বিলিয়ন ডলার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ভোলা, হাতিয়া, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, কক্সবাজারের চকরিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায়। এই ঘূর্ণিঝড়ের ২৮ বছরেও সেসব উপকূলীয় এলাকা এখনো অরক্ষিত।

ওই ঘটনায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হালিশহর, আগ্রাবাদ, কাটঘর, বন্দর, পতেঙ্গাসহ নগরীর উল্লেখযোগ্য এলাকা। বন্দর থেকে ছিটকে যায় নোঙর করা বড় বড় জাহাজ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নৌবাহিনীর জাহাজ। জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় নৌবাহিনীর অনেক অবকাঠামো। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজ। শিশু-সন্তান ও পরিবার নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় জলোচ্ছ্বাসে আটকা পড়েন নৌ ও বিমান বাহিনীর বহু সদস্য। ভেসে যায় অনেকের আদরের ছোট্ট শিশু।

সেদিন রাত ১০টার পর ১০ থেকে ২৫ ফুট উচ্চতায় সাগরের পানি মুহূর্তেই ধেয়ে আসে লোকালয়। জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবলীলায় ওই রাতে অনেক মা হারায় সন্তানকে, স্বামী হারায় স্ত্রীকে, ভাই হারায় বোনকে। কোথাও কোথাও গোটা পরিবারই হারিয়ে যায় পানির স্রোতে।

২৯ এপ্রিলের সেই ধ্বংসযজ্ঞের স্মৃতি বয়ে উপকূলীয় মানুষের কাছে দিনটি ফিরে আসে বার বার। দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি শোকাবহ দিন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : JEWEL