নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনে থাকা ৪৪টি রাজনৈতিক দলই নির্বাচনের পক্ষে। সংবিধানে ইসিকে দায়িত্ব দেওয়া আছে চলমান সংসদের মেয়াদপূর্তির আগেই ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে অনুযায়ী ক্ষণ গণনা করে সব কার্যক্রম শেষ করছি। এখন শুধু তপশিল ঘোষণা বাকি আছে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি। ইসি আলমগীর বলেন, সাধারণত ৪২ থেকে ৪৫ দিন সময় ধরে তপশিল ঘোষণা করতে হয়। মিনিমাম ৪৫ দিন সময় ধরে নভেম্বরে তপশিল ঘোষণা করা হবে। ঠিক কোন সপ্তাহে তা নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি।
ভোটের পরিবেশ আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আমাদের তো দেখি সব ঠিকই আছে। সংবিধানে ইসিকে দায়িত্ব দেওয়া আছে চলমান সংসদের মেয়াদপূর্তির আগেই ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে অনুযায়ী ক্ষণ গণনা করে যাবতীয় কার্যক্রমও শেষ করছি। এখন শুধু তপশিল ঘোষণা আর নির্বাচন অনুষ্ঠান বাদ আছে। মো. আলমগীর বলেন, ‘সবাই নির্বাচন চাইছে। আমাদের যে ৪৪টা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে, সবাই নির্বাচনের পক্ষে।’
বিএনপির নিরপেক্ষ সরকারের দাবির বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, ‘সেটা তো রাজনৈতিক বিষয়। তারা কীভাবে সমাধান করবে, সেটা তাদের বিষয়। এতে তো আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’ বিএনপি নির্বাচনে না এলে কি খারাপ লাগবে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা চাই সবাই নির্বাচনে আসবে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করে আসছি। আগামীতেও সুষ্ঠু নির্বাচন করব।’
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘বিদেশি পর্যবেক্ষক আসার জন্য যে প্রচেষ্টা, তা ইতিমধ্যে আমরা শুরু করে দিয়েছি। এটা এখন বিভিন্ন দেশ থেকে যারা আসবেন, এতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় যে যোগাযোগ করার দরকার, সেগুলো আমরা করব। যেকোনো দেশ থেকে যেন আসতে পারে।’ মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা সার্কভুক্ত দেশসহ কয়েক দেশের ৩০ থেকে ৩৫ জনকে দাওয়াত দেব। তাদের সকল ব্যয় আমরা বহন করব। আর অন্য বিদেশি পর্যবেক্ষক যারা আসবেন, তাদের শুধু আমরা অনুমোদন দেব।’