নিজস্ব প্রতিবেদক: জেল থেকে বেরিয়েই পুনরায় মাদকের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে মাদক কারবারীরা। আবারো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো (উত্তর) ও চট্টগ্রাম মেট্রো (উত্তর) এ বিপুল পরিমান বিদেশী মদ ও ইয়াবা উদ্ধার।
(বৃহস্পতিবার) ২৫ই মে, ২০২৩ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর উপপরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান এর তত্ত্বাবধানে, সহকারী পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান এর নেতৃত্বে গুলশান সার্কেল পরিদর্শক মোঃ নাজমুল হোসেন এর নেতৃত্বে একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, বনানী থানাধীন কড়াইল বস্তি এন্ড টি কলোনীর (এরশাদ মাঠ) কবরস্থান রোডস্থ মিম ফ্যাশন গ্যালারী নামীয় দোকানের ভিতর অভিযান পরিচালনা করে মোঃ মনির হোসেন (৩৮)কে ২৮ বোতল চিভাস-১২ হুইস্কি, ৮ বোতল ট্রাভেলাস ক্লাব হুইস্কি, ১৯ বোতল ব্লাক লেবেল হুইস্কি, ১ বোতল ভ্যাট-৬৯ লেবেল হুইস্কি, সর্বমোট-৫৬ বোতল বিদেশি মদসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। সহকারী পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ বিদেশী মদ সরবরাহ করে আসছিল বলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। আসামী বিভিন্ন কৌশলে তার ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছিল। বেশ কিছুদিন ধরে তার কার্যক্রম ও গতিবিধি মনিটরিং কারা হচ্ছিল। সর্বশেষ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে তথ্য আসে যে, বর্ণিত মাদক ব্যবসায়ী বিমানবন্দর কেন্দ্রিক একটি চক্র হতে অবৈধ বিদেশী মদ সংগ্রহ করে গুলশান ও বনানীর বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করবে। ইতোপূর্বে এইধরনের মাদকের চালান নিয়ে ২ বার গ্রেফতার হয়েছিল । জেল থেকে বের হয়ে সে আবারও ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। আসামীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ (সংশোধিত-২০২০) অনুযায়ী একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে (বৃহস্পতিবার) ২৫ই মে, ২০২৩ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম মেট্রো (উত্তর) এর উপপরিচালক হুমায়ুন কবির খন্দকার এর সার্বিক তত্ত্ববধানে, উপপরিদর্শক মোঃ ছানাউল্লাহ মিয়া এর নেতৃত্বে একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, কর্ণফুলী থানাধীন শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক টোল প্লাজার পার্শ্বে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পাচারকালে সৌদিয়া বাসে অভিযান পরিচালনা করে মোহাম্মদ রুবেল (৩০) কে ৩,৭৩০ (তিন হাজার সাতশত ত্রিশ) পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। আসামীর বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক মোঃ ছানাউল্লাহ মিয়া বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ (সংশোধিত-২০২০) অনুযায়ী একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।